বিদ্যালয়ের অবশ্য পালনীয় নিয়মাবলি

১। প্রত্যেক বিদ্যার্থীকে বিদ্যালয়ের নিয়মাবলি অবশ্য পালন করতে হবে, এর অন্যথা হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ২। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে এবং প্রার্থনা সভায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

৩। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের জন্য নির্দিষ্ট পোষাকে ছাত্রকে বিদ্যালয়ে আসতে হবে।

বিদ্যালয়ের পোষাক নিম্নরূপ :

সাদা সার্ট, জলপাই সবুজ রঙের প্যান্ট এবং পা ঢাকা কালো জুতো অথবা সাদা কেড্‌স। শীতের সময় জলপাই সবুজ রঙের সোয়েটার বাঞ্ছনীয়। ছোটদের চেন দেওয়া প্যান্ট না দেওয়াই ভালো।

৪। শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে বাইরে যাওয়া চলবে না। শিক্ষক শিক্ষিকার অনুমতি ছাড়া প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা

করা চলবে না।

৫। প্রথম, চতুর্থ, পঞ্চম ও শেষ ঘন্টায় কেউ শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে পারবে না ।

৬। বিরতির শেষে প্রথম ঘন্টা পড়বার পর অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ

করতে হবে।

৭। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় দুপুর দুটো থেকে তিনটে। এছাড়া অন্য সময়ে কেবলমাত্র শ্রেণি মনিটর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে।

৮। বিদ্যালয়ে এলে একমাত্র অসুস্থতার কারণ ছাড়া বিদ্যালয় ত্যাগ করা চলবে না। অভিভাবক বা বাড়ির লোক ছাড়া অসুস্থ ছাত্রকে বাড়ি

যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

৯। পর্যদের নির্দেশ অনুযায়ী মোট কাজের দিনের শতকরা ৮০ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেই হবে। অসুস্থতার কারণ ভিন্ন দীর্ঘদিন বা পরীক্ষার সময়ে নানা অছিলায় মাঝে মাঝেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা চলবে না । অসুস্থতার কারণে ছুটি নিলে ডাক্তারের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

১০।

কোন কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলে বিদ্যালয়ে আসবার সময় স্কুল ডায়েরিতে অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ অবশ্যই তার উল্লেখ করতে হবে। ঐ ডায়েরি শ্রেণিশিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। ডায়েরিতে উপযুক্ত স্থানে এরূপ লিখিত প্রমাণ না থাকলে ছাত্র বিদ্যালয়ে এলেও তাকে উপস্থিত বলে গণ্য করা যাবে না । ১১। বিদ্যালয়ে সমস্ত অনুষ্ঠানে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানকেই বিদ্যালয়-কৃত্যাাদির অন্তর্গত বলে বিবেচনা করা হবে এবং এই কারণে

এতে উপস্থিতি বা অংশ গ্রহণের জন্য যথারীতি মোট উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে বা কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হবে ।

১২। কোন ছাত্র বিদ্যালয়ের কোন সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করলে তার ক্ষতিপুরণ দিতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে বিদ্যালয় থেকে তার নাম কেটে দেওয়া হবে।

১৩। প্রত্যেক ছাত্রকে অবশ্যই প্রতিদিনের শ্রেণির পাঠ শিখে আসতে হবে এবং বাড়ির কাজ ও শ্রেণির কাজ নিয়মিতভাবে করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় বই স্কুল-ডায়েরি প্রত্যেকদিন সঙ্গে আনতে হবে। ১৪। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে এবং বাইরে সবরকম পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে