প্ৰাৰ্থনা

অসতো মা সদ্‌গময় তমসো মা জ্যোতির্গময়

মৃত্যোর্মা,মৃতং গময়

আবীরাবীর্ম এধি

অসত্য থেকে সত্যেতে প্ৰভু

নিয়ে চল মোরে টানি

ঘুচাও আঁধার নয়নে আমার

জ্যোতির পুঞ্জ আনি;

মরণ থেকে হে বন্ধু, হে প্ৰিয়

অমৃতের পথে নিয়ে

প্রকাশিত হও হৃদয়ে আমার

আপন স্বরূপ লয়ে।

।। সঙ্কল্প বাক্য ।

আমরা দেশভক্তি, সহনশীলতা, অধ্যয়নের প্রতি নিষ্ঠা, গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা, নম্রতা, সততা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সদাই বিদ্যালয়ের মুখোজ্জ্বল করব।

আমরা সদা সতর্ক থাকব যাতে আমাদের কোন আচরণ কোনভাবে বিদ্যালয়ের পক্ষে লজ্জার কারণ না হয়।

আমরা আমাদের সতীর্থ সম্প্রীতি ও ঐক্য অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর।

বিদ্যালয়ের অবশ্য পালনীয় নিয়মাবলি

১। প্রত্যেক বিদ্যার্থীকে বিদ্যালয়ের নিয়মাবলি অবশ্য পালন করতে হবে, এর অন্যথা হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ২। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হবে এবং প্রার্থনা সভায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

৩। প্রতিদিন বিদ্যালয়ের জন্য নির্দিষ্ট পোষাকে ছাত্রকে বিদ্যালয়ে আসতে হবে।

বিদ্যালয়ের পোষাক নিম্নরূপ :

সাদা সার্ট, জলপাই সবুজ রঙের প্যান্ট এবং পা ঢাকা কালো জুতো অথবা সাদা কেড্‌স। শীতের সময় জলপাই সবুজ রঙের সোয়েটার বাঞ্ছনীয়। ছোটদের চেন দেওয়া প্যান্ট না দেওয়াই ভালো।

৪। শ্রেণিকক্ষ থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনুপস্থিতিতে বাইরে যাওয়া চলবে না। শিক্ষক শিক্ষিকার অনুমতি ছাড়া প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দেখা

করা চলবে না।

৫। প্রথম, চতুর্থ, পঞ্চম ও শেষ ঘন্টায় কেউ শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে পারবে না ।

৬। বিরতির শেষে প্রথম ঘন্টা পড়বার পর অবশ্যই শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ

করতে হবে।

৭। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় দুপুর দুটো থেকে তিনটে। এছাড়া অন্য সময়ে কেবলমাত্র শ্রেণি মনিটর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে।

৮। বিদ্যালয়ে এলে একমাত্র অসুস্থতার কারণ ছাড়া বিদ্যালয় ত্যাগ করা চলবে না। অভিভাবক বা বাড়ির লোক ছাড়া অসুস্থ ছাত্রকে বাড়ি

যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না।

৯। পর্যদের নির্দেশ অনুযায়ী মোট কাজের দিনের শতকরা ৮০ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেই হবে। অসুস্থতার কারণ ভিন্ন দীর্ঘদিন বা পরীক্ষার সময়ে নানা অছিলায় মাঝে মাঝেই বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকা চলবে না । অসুস্থতার কারণে ছুটি নিলে ডাক্তারের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

১০।

কোন কারণে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে না পারলে বিদ্যালয়ে আসবার সময় স্কুল ডায়েরিতে অভিভাবকের স্বাক্ষরসহ অবশ্যই তার উল্লেখ করতে হবে। ঐ ডায়েরি শ্রেণিশিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। ডায়েরিতে উপযুক্ত স্থানে এরূপ লিখিত প্রমাণ না থাকলে ছাত্র বিদ্যালয়ে এলেও তাকে উপস্থিত বলে গণ্য করা যাবে না । ১১। বিদ্যালয়ে সমস্ত অনুষ্ঠানে থাকা বাধ্যতামূলক। প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানকেই বিদ্যালয়-কৃত্যাাদির অন্তর্গত বলে বিবেচনা করা হবে এবং এই কারণে

এতে উপস্থিতি বা অংশ গ্রহণের জন্য যথারীতি মোট উপস্থিতির হার বৃদ্ধি পাবে বা কৃতিত্বের স্বীকৃতি দেওয়া হবে ।

১২। কোন ছাত্র বিদ্যালয়ের কোন সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করলে তার ক্ষতিপুরণ দিতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে বিদ্যালয় থেকে তার নাম কেটে দেওয়া হবে।

১৩। প্রত্যেক ছাত্রকে অবশ্যই প্রতিদিনের শ্রেণির পাঠ শিখে আসতে হবে এবং বাড়ির কাজ ও শ্রেণির কাজ নিয়মিতভাবে করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় বই স্কুল-ডায়েরি প্রত্যেকদিন সঙ্গে আনতে হবে। ১৪। শ্রেণিকক্ষের ভিতরে এবং বাইরে সবরকম পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে

সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুল মিড ডে মিল (MDM)

বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিদিন উপস্থিত ও ইচ্ছুক ছাত্রদের জন্য মিড ডে মিলের ব্যবস্থা থাকে । খাদ্য তালিকায় ভাত, ডাল, সোয়াবীন, আলু, ঋতুকালীন সব্জি এবং সেদ্ধ ডিমের ব্যবস্থা থাকে। এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্য করে।

ছাত্রদের প্রতি বিশেষ নির্দেশ :

১। মিড ডে মিল গ্রহণের জন্য স্টীলের পাত্র ব্যবহারই উপযুক্ত।

২। আহারে পূর্বে সাবান দিয়ে হাত ও মুখ ধোওয়া প্রয়োজন । ৩। নিয়ম শৃঙ্খলা বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আহার

গ্রহণ করতে হবে।

৪। আহারে উচ্ছিষ্ট অংশ নির্দিষ্ট ডাস্টবিনেই ফেলতে হবে। খাদ্য সামগ্রী বা উচ্ছিষ্ট অংশ যত্রতত্র ফেলতে নেই ।

৫। নিজের আহারের সময় অন্য বন্ধুর সুবিধা-অসুবিধার নজর করতে হবে।

৬। খাবার গ্রহণের সময় নীচু শ্রেণীর ছাত্রদের সুযোগ করে দাও উঁচু শ্রেণীর দাদারা ।